শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

যেমন বোমা চাই



যেমন বোমা চাই

দেশজুড়ে ককটেল ফুটছে, ফাটছে পেট্রলবোমা। অচিরেই হয়তো ডিজেল, অকটেন, কেরোসিনবোমাও দেখা যাবে। কিন্তু এগুলো ছাড়া আরও কিছু বোমা হতে পারে!

পাপড়িবোমাএ বোমা রাস্তায় ফোটানো মাত্র আগুনের বদলে লাখ লাখ গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে পড়বে। ধোঁয়ার বদলে ছড়াবে সৌরভ। মানুষ দৌড়ে পালাবে না, বরং বোমা ফাটার স্থানে ছুটে যাবে।

বস্ত্রবোমা
এই বোমা ফাটানো মাত্র বিভিন্ন শীতবস্ত্র, যেমন: কানটুপি, সোয়েটার এমনকি কম্বল পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে আকাশে–বাতাসে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সবাই, বিশেষত শীতে জর্জরিত দরিদ্র মানুষেরা অপেক্ষা করবে কখন বোমা ফাটানো হবে, কখন বোমা ফাটানো হবে!
মিষ্টিবোমা
আন্দোলন এখন কারও কারও কাছে উৎসবের পর্যায়ে পড়ে গেছে। তাই আন্দোলনকারীরা মিষ্টির বোমাটা ফাটাতে পারেন। বোমাটা ফাটলেই ছড়িয়ে পড়বে হাজার হাজার রসগোল্লা, কালোজাম, চমচম আর জিলাপি। চোখ বন্ধ করে বলা যায়, এমন বোমা ফাটলে আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বাড়বে।
বৃষ্টিবোমা
এক মাঘে শীত যেমন যায় না, তেমন মাঘের শীত শেষে গরমকালও ঠিক ঠিক আসে। প্রচণ্ড দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে মানুষের জীবন। আশা(!) করি, তখনো আন্দোলন চলবে। তখন এক টুকরো প্রশান্তির জন্য ফাটানো যেতে পারে বৃষ্টিবোমা। বোমাটা ফাটলেই ঝিরিঝিরি শীতল বৃষ্টি ছড়িয়ে পড়বে রাস্তায়, ফুটপাতে। যারা চাইবে তারা বৃষ্টিতে গোসল সেরে নেবে, যারা চাইবে না তারা ছাতা নিয়ে বাইরে বের হবে। ঘরে ঘরে রান্না হবে খিচুড়ি, সঙ্গে গরম গরম ইলিশ ভাজা! আহা!
বইবোমা
প্রতি বইমেলায় হাজার হাজার নতুন বই প্রকাশিত হচ্ছে। বেশির ভাগ বই থেকে যাচ্ছে বইয়ের দোকানের তাকেই। এসব বই দিয়েই তৈরি করা যায় বইবোমা। বোমাটা ফাটলেই ছড়িয়ে পড়বে শত শত নতুন বই। হাতে হাতে পৌঁছে যাবে মানুষের প্রকৃত বন্ধু। মানুষ হবে আলোকিত। খোশমেজাজে থাকবেন লেখক ও প্রকাশক।

প্রথম প্রকাশ: রস+আলো
২৬ জানুয়ারি ২০১৫

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন