১.
কী হবে সুখ করে
তারচে পান করো বিরহ ও বেদনা
জীবনের কাছে বড় মুখ করে
চেয়ো না কিছুই ।
ভালোবেসে কাঁদো। সুখের অসুখে কেঁদো না ।
২.
ছদ্মবেশে থাকি
যেন তুমি না চিনতে পারো
ছয়টা জনম পার হয়েছে
একটা বাকি আরো ।
৩.
শন শন আওয়াজ শুনে জানালার পর্দা সরালাম । ধানমণ্ডি সাতাশের যে ওভার ব্রিজ, লোহার শরীরটা নিয়ে সে উঠে গেছে আকাশে। থলথলে গোল চাঁদের আলোয় তার কালচে শরীরে পর্যন্ত জেল্লা । দুপাশের সিঁড়িগুলো ডানা হয়ে গেছে অবিকল । বাতাস কাটছে সাঁই সাঁই ।
এই জোত্স্নার রাতে সাতাশ নম্বরের ওই লোহার ব্রিজটার কি প্রেম হলো বনানী ব্রিজের সাথে ? বনানী ব্রিজটাও কি নড়ে চড়ে উঠছে ?
এই পৃথিবীর প্রাণগুলো শুধু প্রেমে পড়লেই এমন দুঃসাহসী হয়ে ওঠে ।
৪.
ফলে একটা ঝিমানি আসতে পারে
একগাদা শ্যাওলার ভেতর সন্ধ্যার মতো উচাটন
মন তখন প্রকাশ্য হতে পারে
একটা ছুটে চলা রেলের শব্দ শুনতে শুনতে
তুমি বলবে, ও এই তাহলে মৃত্যু !
৫.
জেনো, আমি কিছু নই।
পিঁপড়ার ধী নিয়ে সারি ছেড়ে দাঁড়িয়েছি
তোমার উদ্দেশ্যে
সামনে সমুদ্র বিশাল
অপেক্ষা করছি একটি পাতা ঝরার ।
৬.
একদিন এই পৃথিবীতে আর কোনো
আয়না থাকবে না ।
হৃদয় থাকবে শুধু ।
একটা ধীর
অপেক্ষার হৃদয় তখন
কাকচক্ষু শান্ত পুকুর হবে ।
রূপ দেখতে তুমি
তাতেই ডুব দিও ।
৭.
আগস্টে চুপ থাকি
সলো থাকি খুব।
দেখি অনেক এ ফোর কাগজ ছিঁড়ে কেউ ছড়িয়ে দিয়েছে ভুঁইফোড় গনগনে গগনে।
আর আকাশটাও দুলছে জিএফের নীল স্কার্টের মতো
একটা পৃথিবী যে কোনো সময় বেরিয়ে আসবে দুভাগে।
আর ওই ব্লাডি কাশফুলেরাও দোলে এইসব সেক্সি হাওয়ায় ।
শার্ট খুললেই খালি লোনলি লোলনি লাগে !
৮.
এসব দেখি লাশের হাটবাজার................
একদিন, এই পুরো বাংলাদেশটায় ছড়িয়ে যাবে লাখ লাখ লাশ।
কালো লাশ, সাদা লাশ, লাল লাশ, নীল লাশ, সবুজ আর বেগুনি লাশ।
মৃদু আর স্থুল লাশ। জীবিত আর মৃত লাশ।
পচা আর টাটকা লাশ।
জলেডোবা, বিষখাওয়া, ট্রাকেচাপা, চাপাতিখাওয়া থাক থাক বিষণ্ণ লাশ।
অভিজাত শপিংমল থেকে রাস্তায় গলিতে আনাচে কানাচে সবজি আর মাছের মতো বিক্রি হবে লাশ। মোটা মোটা ঢলঢলে লাশ। আমরা আঙুল দিয়ে টিপে টিপে, নাক-মুখ শুঁকে শুঁকে অসুধহীন ফরমালিনমুক্ত লাশ বেছে বেছে কিনবো।
ভ্যানে ভ্যানে জমে জমে থাকবে চুলখোলা চোখবোজা ঘুমহীন লাশ।
পুকুরে নামলে আমাদের পায়ে আর মাছেরা টোকা দেবে না, বরং লাশ এসে আঁকড়ে ধরবে পা। বলবে, এসো এসো আমার ঘরে। পিড়ি পেতে বসতে দেবো...
চলতে ফিরতে বাসেট্রেনেট্রাকেপ্লেনে দেখবো শুয়ে আছে শয়ে শয়ে লাশ। আমরা লাশের নাক ডাকার আওয়াজ শুনতে শুনতে দীর্ঘ ভ্রমণ শেষ করবো।
স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়ে জম্বির মতো হেঁটে বেড়াবে লাশ।
আর বর্ষাকাল এলেই লাখ লাখ চোখের বৃষ্টি হবে এই দেশে...
যেগুলো কাজে দেয় না বলে একদিন মেঘ হয়ে গিয়েছিল ।
৯.
এ ঠাঁই তোমার নয়
যাও অন্য কোথাও
উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা হয়ে যাও
আকাশে বা পাতালে যাও
কোন ছাই চুলায় বা নরকেই যাও
অন্য কোথাও অন্য কোনোখানে
শরীরে অশরীরে অন্ধ কোনো গুহায়
বন্ধ সুড়ঙ্গ ভাঁজে যাও আশ্রয় নাও
দেশত্যাগী হও বনবাসী হও
কাউকে খুন করে জেলে চলে যাও
এই পাঁজরের হাড় ছেড়ে যাও অন্য ডাঙায় ওঠো
ভালোবাসা, আমাকে ছেড়ে এইবার তুমি, যাও অন্য কোথাও ফোটো ।
১০.
???
কী হবে সুখ করে
তারচে পান করো বিরহ ও বেদনা
জীবনের কাছে বড় মুখ করে
চেয়ো না কিছুই ।
ভালোবেসে কাঁদো। সুখের অসুখে কেঁদো না ।
২.
ছদ্মবেশে থাকি
যেন তুমি না চিনতে পারো
ছয়টা জনম পার হয়েছে
একটা বাকি আরো ।
৩.
শন শন আওয়াজ শুনে জানালার পর্দা সরালাম । ধানমণ্ডি সাতাশের যে ওভার ব্রিজ, লোহার শরীরটা নিয়ে সে উঠে গেছে আকাশে। থলথলে গোল চাঁদের আলোয় তার কালচে শরীরে পর্যন্ত জেল্লা । দুপাশের সিঁড়িগুলো ডানা হয়ে গেছে অবিকল । বাতাস কাটছে সাঁই সাঁই ।
এই জোত্স্নার রাতে সাতাশ নম্বরের ওই লোহার ব্রিজটার কি প্রেম হলো বনানী ব্রিজের সাথে ? বনানী ব্রিজটাও কি নড়ে চড়ে উঠছে ?
এই পৃথিবীর প্রাণগুলো শুধু প্রেমে পড়লেই এমন দুঃসাহসী হয়ে ওঠে ।
৪.
ফলে একটা ঝিমানি আসতে পারে
একগাদা শ্যাওলার ভেতর সন্ধ্যার মতো উচাটন
মন তখন প্রকাশ্য হতে পারে
একটা ছুটে চলা রেলের শব্দ শুনতে শুনতে
তুমি বলবে, ও এই তাহলে মৃত্যু !
৫.
জেনো, আমি কিছু নই।
পিঁপড়ার ধী নিয়ে সারি ছেড়ে দাঁড়িয়েছি
তোমার উদ্দেশ্যে
সামনে সমুদ্র বিশাল
অপেক্ষা করছি একটি পাতা ঝরার ।
৬.
একদিন এই পৃথিবীতে আর কোনো
আয়না থাকবে না ।
হৃদয় থাকবে শুধু ।
একটা ধীর
অপেক্ষার হৃদয় তখন
কাকচক্ষু শান্ত পুকুর হবে ।
রূপ দেখতে তুমি
তাতেই ডুব দিও ।
৭.
আগস্টে চুপ থাকি
সলো থাকি খুব।
দেখি অনেক এ ফোর কাগজ ছিঁড়ে কেউ ছড়িয়ে দিয়েছে ভুঁইফোড় গনগনে গগনে।
আর আকাশটাও দুলছে জিএফের নীল স্কার্টের মতো
একটা পৃথিবী যে কোনো সময় বেরিয়ে আসবে দুভাগে।
আর ওই ব্লাডি কাশফুলেরাও দোলে এইসব সেক্সি হাওয়ায় ।
শার্ট খুললেই খালি লোনলি লোলনি লাগে !
৮.
এসব দেখি লাশের হাটবাজার................
একদিন, এই পুরো বাংলাদেশটায় ছড়িয়ে যাবে লাখ লাখ লাশ।
কালো লাশ, সাদা লাশ, লাল লাশ, নীল লাশ, সবুজ আর বেগুনি লাশ।
মৃদু আর স্থুল লাশ। জীবিত আর মৃত লাশ।
পচা আর টাটকা লাশ।
জলেডোবা, বিষখাওয়া, ট্রাকেচাপা, চাপাতিখাওয়া থাক থাক বিষণ্ণ লাশ।
অভিজাত শপিংমল থেকে রাস্তায় গলিতে আনাচে কানাচে সবজি আর মাছের মতো বিক্রি হবে লাশ। মোটা মোটা ঢলঢলে লাশ। আমরা আঙুল দিয়ে টিপে টিপে, নাক-মুখ শুঁকে শুঁকে অসুধহীন ফরমালিনমুক্ত লাশ বেছে বেছে কিনবো।
ভ্যানে ভ্যানে জমে জমে থাকবে চুলখোলা চোখবোজা ঘুমহীন লাশ।
পুকুরে নামলে আমাদের পায়ে আর মাছেরা টোকা দেবে না, বরং লাশ এসে আঁকড়ে ধরবে পা। বলবে, এসো এসো আমার ঘরে। পিড়ি পেতে বসতে দেবো...
চলতে ফিরতে বাসেট্রেনেট্রাকেপ্লেনে দেখবো শুয়ে আছে শয়ে শয়ে লাশ। আমরা লাশের নাক ডাকার আওয়াজ শুনতে শুনতে দীর্ঘ ভ্রমণ শেষ করবো।
স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়ে জম্বির মতো হেঁটে বেড়াবে লাশ।
আর বর্ষাকাল এলেই লাখ লাখ চোখের বৃষ্টি হবে এই দেশে...
যেগুলো কাজে দেয় না বলে একদিন মেঘ হয়ে গিয়েছিল ।
৯.
এ ঠাঁই তোমার নয়
যাও অন্য কোথাও
উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা হয়ে যাও
আকাশে বা পাতালে যাও
কোন ছাই চুলায় বা নরকেই যাও
অন্য কোথাও অন্য কোনোখানে
শরীরে অশরীরে অন্ধ কোনো গুহায়
বন্ধ সুড়ঙ্গ ভাঁজে যাও আশ্রয় নাও
দেশত্যাগী হও বনবাসী হও
কাউকে খুন করে জেলে চলে যাও
এই পাঁজরের হাড় ছেড়ে যাও অন্য ডাঙায় ওঠো
ভালোবাসা, আমাকে ছেড়ে এইবার তুমি, যাও অন্য কোথাও ফোটো ।
১০.
???
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন