রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

হ্যালা ভাইয়ের 'জীবন'

ছবি: গুগল


হ্যালা ভাই ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার।
খেতে পছন্দ করেন। তবে পেটে খেলে মাঝে মাঝে ইয়েতে সয় না। এরকম এক ইয়েতে না-সওয়া দিনে হ্যালা ভাই বিপদে পড়ে গেলেন। তার পেট নেমে গেল।

ভর দুপুর। প্রখর রোদ। আর নেমে যাওয়া পেট। জনবহুল রাস্তা।
আক্ষরিকার্থেই হ্যালা ভাইয়ের প্রাণ ওষ্ঠাগত। বা বলা ভালো তিনি বাঁ হাতে 'জীবন' নিয়ে ঘুরতে শুরু করলেন।
পাগলের মতো খুঁজতে শুরু করলেন পাবলিক টয়লেট।

ঠিকমতো খুঁজলে বাঘের দুধও পাওয়া যায়। বনের মধ্যে নদী, নদীর মধ্যে ঝিনুক, ঝিনুকের মধ্যে মুক্তো পাওয়া যায়। হ্যালা ভাইও পাবলিক টয়লেট পেলেন। গাঢ় পার্কের ভেতর এক ফোঁটা স্বস্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে সেই সাদা টয়লেটটা। হ্যালা ভাই টয়লেটটাকে দেখে মনে মনে বললেন, আমি পাইলাম... আমি পাইলাম উহারে...

আর এসব ক্ষেত্রে যা হয়, হ্যালা ভাই যেন আছড়ে পড়লেন কমোডের ওপর। তার বাঁ হাতের 'জীবন' নেমে যেতে লাগল। আরামে হ্যালা ভাইয়ের চোখ বন্ধ হয়ে এল। মুখ দিয়ে শুধু একটা শব্দই বেরোতে থাকল-- আহহহহ...!

প্রাথমিক আরাম কেটে গেলে চোখ খুললেন হ্যালা ভাই। দেখলেন ছাদে লেখা-- ডানে তাকান।
হ্যালা ভাই আদেশ পালন করলেন। তাকালেন ডানে। দেখলেন সেই দেয়ালে লেখা-- বামে তাকান। হ্যালা ভাই ধীরে ধীরে ঘাড়টা ঘুরিয়ে বামে তাকালেন। দেখলেন বামের দেয়ালে লেখা-- নিচে তাকান।
হ্যালা ভাই আগ্রহ নিয়ে নিচে তাকালেন। যেন গুপ্তধনের সূত্রমতো এগিয়ে যাচ্ছে তার নজর। কিন্তু নিচের লেখাটা দেখতেই বিরক্তিতে হ্যালা ভাইয়ের মুখ কুচকে গেল। নিচে লেখা-- আবে, মানুষ চান্দে চইলা গ্যাছে আর তুই এহনো এইহানে বইসা কেবল তাকাতাকিই করস?

হ্যালা ভাইয়ের মেজাজ খুবই খারাপ হলো।
যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তার ঘাম হয়। এবারও তিনি কিছুক্ষণ ঘামলেন। তারপর যেন ঝাঁপিয়ে পড়লেন ওই লেখার নিচে। আঙুল দিয়ে দ্রুত লিখলেন-- চান্দেও গেছিলাম... কিন্তু ওইহানে পানি ছিল না... তাই আবার এহানে ফেরত আসছি...!

ওই পাবলিক টয়লেটে লেখার কিছু ছিল না। হ্যালা ভাই তাই 'জীবন' দিয়েই লিখলেন। আগেই বলেছি, হ্যালা ভাই ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন