সোমবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৫

মেঘ না হয়ে ঘুড়ি




একটা সবুজ মাঠ। শেষ হলে লম্বা বালুর ঘাট। শেষ হলে নদী।

নদীটা তাহলে বেঁচেই আছে। গতবার যখন দেখি তাকে, স্বপ্নে, মনে হয়েছিল মরে যাবে। ধুঁকছিল। আজও দেখি বেঁচে আছে। নদীর আশ্চর্য তবে জীবনিশক্তি।
হাঁটতে হয় না। ভেসে যেতে পারি আজকাল। এমনকি ভাসলে তেমন খারাপও লাগে না আর। আগে ভাবতাম, নদীতে সাঁতার কাটতে যেমন লাগে-- একটা ক্লান্তি তেমন কিছুও লাগতে পারে এই ভাসাভাসিতে। আদতে লাগে না। তারপর আগে ভয় হতো খুব-- ভাসলেই ভাবতাম পড়ে যাবো। আর পড়ে গেলে --আর কি-- মরে যাবো। মরে যেতে ভয় হতো। খালি নিচের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ওই ম্যাচবাক্সের মতো ঘর আর বাড়ি, সাপের খোলশের মতো নদী... ভয় হতো মরে গেলে এভাবেই যদি ভেসে থেকে যাই! শেষে মেঘ হয়ে যাই যদি?

এখন মরার ভয় নেই আর। ভয় যে নদীটা যদি মরে যায়! কিন্তু নদীটা এখনো চলমান। নদী ভেসে যায়। আমি ভেসে যাই। একটা ইচ্ছা-নাড়ি তবুও মাটিতেই থাকে পোঁতা। ফলত মেঘ না হয়ে আমি ঘুড়ি হয়ে যাই ॥


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন