শনিবার, ২০ জুন, ২০১৫

:: মোদি যেন এক ভাস্কদাগামা ::

মোদি। ঢাকা।২০১৫

মোদি যা দেখলেন:
১। ঢাকা নাকি জ্যামের শহর, এমন শুনে এসেছিলেন মোদি। কিন্তু প্লেন থেকে নেমে দুই দিনের বিস্তর ঘোরাঘুরিতেও তিনি জ্যামের জ্যা দেখলেন না। তিনি বুঝলেন ঢাকার জ্যাম আসলে মিডিয়ার সৃষ্টি।
২।মোদি ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলেন খোদ দিল্লিতে বসে যে সব ইন্ডিয়ান জিনিস পাওয়া যায় না, ঢাকার বাজারে তা হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। সাবান-শ্যাম্পু থেকে শুরু করে শাড়ি চুড়িদার, পেঁয়াজ-ডাল থেকে শুরু করে বাস-ট্রাক-মোটর সাইকেল সব সব পাওয়া যায় এখানে। ছোট্ট একটা ঢাকার ভেতর অতিকায় ইন্ডিয়া কী অসারণভাবে ঢুকে আছে তা দেখে মোদির চোখে আনন্দে পানি এসে গিয়েছিল। তখন তিনি লুকিয়ে তিস্তার পাড়ে গিয়ে কেঁদেছিলেন। আশা ছিল তাতে তিস্তার পানি কিছুটা বাড়বে! কিন্তু তাতেও আপত্তি মমতা দির। তিনি ছুটে এসে টিস্যু দিয়ে মোদিজির চোখ মুছিয়ে দিয়েছিলেন।
৩। মোদি এসে দেখলেন এদেশের মানুষের আনন্দের সীমা নাই। প্রবল কষ্টে এরা কষ্টা পায় না। রগড়ের বিষয় পেলে তো দূর, সিরিয়াস ব্যাপারকেও এরা মজাতামাশায় উড়িয়ে দেয়। এদেশে তিস্তা আর সীমান্তহত্যার মতো ভয়ানক ভাবনা থাকা সত্বেও এরা মোদির টুইটার আর ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে চিড়িয়াখানার বানরের মতো নিজেদের মধ্যে খিলবিল করে। বানর-হনুমান প্রভৃতি মোদি খুব পছন্দ করেন। দেখা হওয়ামাত্র তিনি তাই সব বানরের উদ্দেশ্যে হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানিয়েছেন। মনে মনে বলেছেন, তিস্তাচুক্তি সই না করেও এদের মন জয় করা কত সহজ- স্রেফ বাঙলায় একটা টুইট করে একেবারে কেল্লাফতে!

মোদি যা দেখাতে চাইলেন:
মোদি দেখাতে চাইলেন বাংলা টুইট, ইংরেজি স্ট্যাটাস, জীবনানন্দের কবিতা, ক্রিকেট, সাকিব আল হাসান, সালমা, ওয়াসফিয়া আর বিকাশ (বিক্যাশ নয়)।
মোদিনোট: মোদি যেন এক ভাস্কোদাগামা। আমাদের আবিষ্কার করে গেলেন। আমাদের জানিয়ে গেলেন যা আমরা জানি!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন