বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৬

না লিখতে পারা একটা সবুজ নাকফুলের গল্প


একটা নাকফুলের গল্প লিখব বলে অনেক দিন ধরে ভাবছি।

গল্পটা যেহেতু শুনেছিলাম শাহগুফতার কাছে তাই একদিন সিগারেট খেতে খেতে তার অনুমতি নিয়ে রেখেছিলাম। যদিও গল্পে শাহগুফতা থাকবে কিনা এ নিয়ে আমার ভেতরে একটা সন্দেহ আছে। কারণ শাহগুফতার নাকে কোনো ফুটো নেই। সে নিজে নাকফুল ব্যবহার কনে না। এবং যে নাকফুল ব্যবহার করে না তাকে নিয়ে নাকফুল শিরোনামে গল্প লেখা উচিত হবে কিনা এমন ভাবনা আমার মধ্যে দুলে গিয়েছে কয়েকদিন।
তবে এই যে বললাম দুলে গিয়েছে এটা আসলে সঠিক বলা হলো না; সত্যিকারার্থে কোথাও তেমন কিছু দোলে নি। বরং ভাবনাটা একটু এসেছিল। তার সঙ্গে এও ভাবনা ছিল যে শাহগুফতার নামটা বড়। এই নাম গল্পে ব্যবহার করা সুবিধাজনক না। নায়িকার নাম দুই তিন অক্ষরের মধ্যে হলে লিখতে পড়তে সুবিধা।

কিন্তু পরেই ভাবলাম গল্পে তো শাহগুফতা নায়িকা না বরং কথক, ফলে তার চরিত্রটা থাকতে পারে। তখন মনে হলো গল্পটাতে আমি থাকবো কিনা। গল্প-টল্প লিখলে আমার উপস্থিতি আসলে কথক হিশেবেই থাকে সাধারণত অথচ এখানে সে কাজ করবে শাহগুফতা। নিজের সাথে কিছুক্ষণ দ্বিধাদ্বন্দ্ব হয়। শাহগুফতা না আমি, আমি না শাহগুফতা! কিন্তু ওই শীত শীত কালে শাহগুফতার কাছে যে আমি গল্পটা শুনেছলিাম তারপর থেকেই মনে হয়েছিল গল্পটা লিখে ফেলব। অথচ লেখা হচ্ছে না। এই বসন্ত কি রাইটার্স ব্লক-- এরকম একটা আতঙ্ক তৈরি হতে হতেও হয় না।

শাহগুফতাকে বলি লিখব গল্পটা। আপনি যেটা বলেছিলেন।

শাহগুফতা মনে করতে পারে না। তাকিয়ে থাকে। আমি বলি, ওই যে ওই নাকফুলের গল্পটা। সবুজ একটা নাকফুল!

তখন শাহগুফতার মুখে একটা ছায়া এসে চুপ করে দাঁড়ায়। যারা গল্পটা জানে না তারা বুঝতে পারে না এই ছায়ার উৎস, কিন্তু আমার একটা বিচলন হয়। ভাবি যে শাহগুফতাকে না বললেই পারতাম। চুপচাপ গল্পটা লিখে ফেললেও তো হতো। গল্পটা প্রথম যখন সে বলেছিল তখনও এমন একটা ছায়া তার মুখে ছিল। চোখে ত্রস্ততা ছিল। ভয় ছিল কি ঠোঁটে? সব মিলে এরকম একটা অদ্ভুত অবস্থা ছিল তখন। আর আমি খুব লোভীর মতো, গল্পটা শুনতে শুনতে, গল্পটার ভেতর দিয়ে যেতে যেতে ভাবছিলাম গল্পটা লিখে ফেলতে হবে। গল্পটাতে একটা দারুণ গল্প আছে। তখন শাহগুফতার মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেকে একটু স্বার্থপর তো লাগইে, কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে বলি কে জানি বলেছে লেখকদের এমন স্বার্থপর হতেই হয়। সৃষ্টি মানেই স্বার্থপরতা। পরে বুঝতে পারি আসলে এমন কথা অন্য কেউ বলে নি-- নিজেকেই নিজে বলে আসছি অনেক দিন থেকে। বলতে বলতে এখন নিজের কথা মনে হচ্ছে অন্যের কথা। আর শাহগুফদা, অন্যের কথা বলতে বলতে মনে হয় যেন নিজের কথা বলছে। তার মুখে ছায়া, তার চোখ টলমল।

গল্পটাতে কী কী ছিল তার একটা ধারাবাহিকতা তৈরি করা জরুরি, কিন্তু ঠিক যেন সময়ই পাচ্ছি না। বা সময় হয়তো পাচ্ছি কিন্ত উদ্যম পাচ্ছি না। নাকি আসলে সাহস পাচ্ছি না, এরকমও ভাবি। তারপর ভাবি গল্পটা কোথা থেকে শুরু করবো, কীভাবে বলব! ছোট গল্পের শুরুটা প্লটটা খুব নাকি গুরুত্বপূর্ণ-- কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতেও খুব বেশি গুরুত দিতে পারছি না। শুধু ভাবছি ওই ছেলেটার কথা। যে একটা নাকফুল নিয়ে হাজির হয়েছিল শাহগুফতার কাছে। অধরচন্দ্র মাঠে সারি সারি শোয়ানো ছিল বাতাস ভারী করা অমিমাংসিত লাশ। শাহগুফতারা রানা প্লাজা ধ্বসে বেঁচে মরা আর মরে বেঁচে ওঠাদের সেবা দিতে দিতে নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছিল আর তখন ছেলেটা একটা নাকফুল নিয়ে এসেছিল শাহগুফতার সামনে। অথচ ছেলেটার হাতে বা পকেটে বা কোথাও সে নাকফুলটা ছিল না। শাহগুফতাকে বলেছিল, আফা, তিন মাসও হয় না আমরা বিয়া করছি! বিয়ার দিন ওরে একটা সবুজ পাথরের নাকফুল দিছিলাম। যত্ন কইরা বউ আমার নাক ফুলটা পরছে আর খোলে নাই!

শাহগুফতা তখন নাকি তাকিয়েই ছিল শুধু। আসলে গত একটা সপ্তাহে যে সব ঘটনার ভেতর দিয়ে শাহগুফতারা গিয়েছিল তাতে সব বিস্ময় সব উদ্দীপনা তারা হারিয়ে ফেলেছিল। একটা একটা শরীরকে ছিঁড়েফেড়ে বাঁচানোর তাগিদে যন্ত্রের মতো হৃদয়হীনের মতো তারা স্থূল হয়ে উঠেছিল। শাহগুফতা তখন নাকি শুধু নির্লিপ্তভাবে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে থাকতে পেরেছিল। আর শাহগুফতার পিপাসা লেগেছিল। তখন নাকি, শত শত লাশের ভেতর, খুব পিপাসা লাগতো তাদের। কিন্তু তারা ঠিকমতো পানি খেতে পারতো না। কেমন অপরাধবোধ হতো। মনে হতো লাশগুলো তাদের দিকে তাকিয়ে আছে, আর তারাও তো আসলে পানি খেতে চেয়েছিল ওই বড় বড় চাইয়ের তলায় চাপা পড়ে-- পানি পায় নি তারা, হয়তো রক্ত খেয়েছিল না হয় নিজের প্রসাব-- শাহগুফতাদের হাতে ধরা পানির বোতল এসব চিন্তায় স্থির হয়ে যেতো। গলা টিস্যু পেপারের মতো শুকিয়ে থাকতো। পিপাসা, পিপাসা লাগতো খুব।

ছেলেটা তখন নাকি অনুনয় করেছিল। বলেছিল, আফা, একটু যদি দেখতেন! মুর্দাগুলার ভিত্রে আমার সুমীও যদি থাকে। তারে পাই নাই, কিন্তু তার শরীলটা যদি পাই, তার কবরটা যদি দিতে পারি! আফা, কোনো মুর্দারই মুখ শরীল দেইখা বুঝার উপায় নাই... কিন্তু আমার সুমীর নাকে ওই সবুজ নাকফুলটা তো আছে, যদি দেখতেন, এই লাশগুলানের ভিত্রে আমার সুমী আছে কিনা!

গল্প শোনার এই জায়গায় এসে আমি ভেবেছিলাম গল্পটা আমাকে লিখতে হবে। তার আগে রানা প্লাজা ইত্যাদি নিয়ে যা শুনেছি যা দেখেছি তাতে এত করুণ পরিস্থিতি আছে যে সেসব লেখার সাহস আমি পাই নি। কিন্তু গল্পের এই জায়গাতে এসে ওই অদ্ভুত ধ্বংসাবস্থার মধ্যে আমি এক অনন্য সম্পর্কের গল্প পেয়ে যাই। মনে হয় ওই ছেলেটা, যার নাম গল্পে দেবো শফিক, সে বলার জন্য একটা উপযুক্ত চরিত্র। প্রধান চরিত্রগুলো যেমন হয় ভালোবাসায় ভরপুর অথচ দার্শনিকসুলভ নির্লিপ্ত, শফিকের মধ্যে যেন তা আছে। আর যেটুকু খামতি থাকবে লেখক হিশেবে তা আমি পুরিয়ে দিতে পারি, সে স্বাধীনতা তো আমার আছেই। আর সুমীকেও দেখতে পাই লেখকের চোখে। যেন এক উচ্ছ্বল, হাসিতে ভরা, লালসাদা মিশেল রঙের সালোয়ার-কামিজ পরা বউ। সদ্য বিয়ে হওয়ায় সংসারের আনন্দটুকুই আছে উদ্ভাসিত মুখে, ভারটা এখনো কাঁধে আসে নি। সুমী হাসলে গালের একপাশে একটা টোল হয়তো পড়বে। মানে এটা লেখক হিশেবে আমি একটু যুক্ত করে দেবো। এরকম ছোটখাটো গ্রহণ বর্জন লেখকরা করেই থাকে। তারপর শফিক আর সুমীকে নিয়ে, বিশেষত তাদের সংসার নিয়ে গল্পটা লিনিয়ারভাবে হয়তো বলে যাবো, এরকম ভাবি কিছুক্ষণ। ভাবি যে খোলা মাঠে শোয়ানো লাশের পাশে শফিক। একটা নাকফুলের স্মৃতি নিয়ে সে তার বউয়ের লাশ শনাক্ত করতে এসেছে। কিন্তু পারছে না। একটা জোর বাতাস হয় কোথাও। আর সেই বাতাসে লাশগুলোর ওপর জড়ানো কাপড়গুলো সরে সরে যায়, শফিক একসাথে সবগুলো লাশের ভাঙাচোরা বিগলিত মুখে দেখে। আর তখনই তার হঠাৎ খুব বমি পায়...

আমার খটকা লাগে। বমির অংশটা ভালো লাগে না। ফলে আমি শাহগুফতার কাছে আবার যাই। মানে তাকে প্রশ্ন করে জেনে নিতে চাই একচুয়েল অবস্থাটা। বলি, তখন শফিক কী করে?

শাহগুফতা বলে, কোন শফিক?

আমার মনে পড়ে শাহগুফতা জানে না আমি ছেলেটার মনে মনে নাম দিয়ে ফেলেছি। তবে তা আর জানাই না শাহগুফতাকে। আমি বলি, ওই যে ছেলেটা তার বউয়ের জন্য এসেছে। একটা সবুজ নাকফুল যার বউয়ের নাকে আছে।

শাহগুফতা বলে, ছেলেটা তো কিছু করে না। আমাকে তার বউকে খুঁজতে বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে।

আমি বলি, কান্নাকাটি করে না?

শাহগুফতা বলে, না করে না। কিন্তু তার মুখে কান্নার চেয়েও কষ্ট দেখতে পাই। যেন ভেঙেচুরে গেছে ভিতর ভিতর। তার শরীরের সমস্ত প্রত্যঙ্গ যেন আহত হয়েছে।

আমি বলি, আপনি তখন কী করলেন?

শাহগুফতা তাকিয়ে থাকে, কিছু বলে না। আমি ভাবি আর বলবে না হয়তো। অধরচন্দ্র মাঠে মৃত্যুর বিভীষিকার মধ্যে কাজ করতে করতে শাহগুফতার মানসিক ঝামেলা হয়েছিল। রাতে ঘুম হতো না তার, আর হলেও ধ্বংসস্তূপ আর আর্তির দৃশ্যশব্দে ঘুম ভেঙে যেতো। একটা অদ্ভুত আশঙ্কা যেন সব সময় তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াতো। পরে, এসব থেকে মুক্তির জন্য, তাকে বেশ কিছুদিন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল। আমার মনে হলো শাহগুফতার মুখের ভেতর ওই আশঙ্কাটা আবার ছায়া ফেলে যাচ্ছে। তখন আমার মনে হলো সে আর কিছু বলবে না। কিন্তু তারপর কী হয়েছিল সেটা জানা আমার জন্য জরুরি হয়ে পড়েছিল। না হলে আমি আর গল্পটা লিখব কীভাবে!

আমি তাই অপেক্ষা করতে থাকলে শাহগুফতা জিয়াকে আরেকটা চা দিতে বলে। আমি আরেকটা সিগারেট নিই তখন। আর অপেক্ষা করতে থাকি যে শাহগুফতা এবার হয়তো বলবে। তবে বলে না। সে মনোযোগ দিয়ে চা খায়। আর আমি ধারণা করতে থাকি কী কী হতে পারে তারপর। কিন্তু আমার মাথায় কিছুই আসে না। হাসপাতাল ছেড়ে আমার দৃশ্য শুধু রানা প্লাজার দিকে চলে যায়। যেহেতু টিভিতে বেশিরভাগ সময় রানা প্লাজাকেই আমি দেখেছিলাম। ফলে ওই দৃশ্য কল্পনা করতেই আমার জন্য সহজ হয়। আমি যখন ক্যামেরাম্যানদের ক্যামেরা ধরে রানা প্লাজার গভীর অন্ধকারে ঢোকার চেষ্টা করি তখন শাহগুফতা কথা বলে ওঠে। খেয়াল করি বলতে গিয়ে তার গলা একটু কেঁপে যায়। যেন যা বলছে তার ওপর তার নিয়ন্ত্রণ নেই। যা বলছে তা যেন বলতে চায় না, বলতে গিয়ে যে দৃশ্য তার ভেতর আসছে তা যেন দেখতে চায় না। কিন্তু আমি তাকে থামতে বলি না। শাহগুফতার কণ্ঠ কাঁপে। বলে, হীরক ভাই, আমি কিন্তু ছেলেটাকে নিয়ে যাই। ওই লাশগুলোর পাশে। একটা একটা করে মহিলা লাশের নাক খুঁচে খুঁচে দেখি কোথাও কোনো নাকফুল আছে কিনা! গলে যাওয়া মাংসের ভেতর একটা ছোট্ট দানার মতো কিছু পাবার জন্য আমরা উৎসাহ নিয়ে একই কাজ করে যাই প্রতিটি লাশের নাকের সঙ্গে...

আমার খুব অবিশ্বাস হয়। যতটা না অবিশ্বাস হয় শাহগুফতার কথায়, তারচেয়ে বেশি হয় নিজের ওপর। গল্পের এই জায়গাটা আমি বিশ্বাসযোগ্যভাবে কী করে লিখব? আমার যা অভিজ্ঞাত না তা কীভাবে লেখা সম্ভব! শাহগুফতা সবগুলো লাশের গলে যাওয়া নাকের মাংস চেপে চেপে একটা সবুজ নাকফুল খুঁজছে আর শফিক তার পাশে পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে! দু’জনেই নির্বিকার। মৃত্যুর মিছিলের মধ্যেই সম্ভবত এরকম নির্লিপ্ত থাকতে পারে মানুষ, কিন্তু এই অসম্ভব ব্যাপার আমি লিখব কেমন করে?

শাহগুফতা বলে, আট নম্বর লাশটার নাক খুঁজতে গিয়ে পুরা নাকটাই খুলে যায়। যেন একটা গলানো প্লাস্টিক। যেন শুটকি মাছ। যেন...

আর ঠিক তখনই শফিক আর্তি করে ওঠে। বলে, আফা সাবধানে... আফা...

হাতে উঠে আসা সেই মাংসটা দু’আঙুল দিয়ে ডলতে থাকে শাহগুফতা, ডলতেই থাকে। যেমন সে একটু আগেও ডলে ডলে এসেছে আরো সাত সাতটি লাশের নাক। ডলতে ডলতে হঠাৎ তার দুই আঙুলের মধ্যে কী যেন মটোর দানার মতো লাগে। তার আঙুলের গতি বেড়ে যায়। শফিকের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ে। গলে যাওয়া মাংসগুলো ঝরে যায় আঙুল থেকে। পড়ে থাকে শুকনোর চামড়ার মতো মেঝেতে। শাহগুফতার আঙুলে থাকে একটা নাকফুল। শাহগুফতা তার বোতল থেকে পানি ঢালে, পরিস্কার করে নাকফুলটা। দুপুরের আলোয় ঝিলিক দিয়ে ওঠে পাথর। সবুজ।

শাহগুফতা নাকফুল নিয়ে তাকায় শফিরে দিকে। শফিক হাঁটুমড়ে বসে পড়ে সুমীর লাশের পাশে। আর এই প্রথমবারের মতো সে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। সে আওয়াজ স্কুলমাঠ ছাড়িয়ে রানা প্লাজার গভীর খাদেও পৌঁছায়। সেখানে জমে থাকা বাতাস আরেকবারের মতো গুমড়ে ওঠে। শফিক সুমীকে জড়িয়ে ধরতে চেয়েও পারে না সবার বাধায়। সবার ভয় হয় নাক খুলে আসার পর এবার হয়তো সুমীর সমস্ত মাংসই খুলে আসবে শরীর থেকে। শফিক তখন সুমীর নাকের মেঝেতে ঝরে পড়া মাংসগুলো কুড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আর ফোঁপাতে থাকে।

শাহগুফতা নিজের হাতটা তুলে আলগোছে একবার দেখে নেয় আর তখনই তাকে বলি এই কথাটা যে আমি তার স্মৃতিটা নিয়ে একটা গল্প লিখতে পারি। সে তখন একটু আহত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে।

আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি এই গল্পটা আমি অবশ্যই অবশ্যই লিখব। কিন্তু যতবারই লিখতে চাই না কেন লিখতে পারি না। কোথা থেকে শুরু করব সেটা বুঝে উঠতে পারি না। কোথায় যে শেষ হবে তাও থাকে অজানা। কিন্তু বুঝতে পারি সবুজ নাকফুলের একটা গল্প না লিখতে পারলে আমি বোধহয় আর সুস্থ হবো না!

শাহগুফতাকে কি আমি গল্পটা আবার বলতে বলবো?
 
 
গল্পপাঠে প্রকাশিত
.................................

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন