দেশজুড়ে চলছে চরম গরম। প্রাণ আইঢাই অবস্থা! গ্রামে তবু গাছের ছায়া আছে, নদীর পাড়ে নাই নাই করেও বাতাস আছে। কিন্তু শহরে? শহরে ইট-কাঠ-পাথরের মাঝে এই গরম যেন তার সমস্ত সীমা অতিক্রম করছে! এই মাত্রাতিরিক্ত গরমে নাগরিকেরা কীভাবে ‘সারভাইভ’ করবে? অনুসরণ করুন রস+আলোর পদ্ধতি।
চিকিৎসা–পদ্ধতি
নগরের বড় বড় বেসরকারি হাসপাতালে বসেন এমন চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন, রিপোর্ট ইত্যাদি জোগাড় করুন। হাতে নিয়ে ঢুকে যান হাসপাতালগুলোতে। এসব বেসরকারি হাসপাতাল আগাপাছতলা এসিতে মোড়ানো থাকে। হাসপাতালে ঢুকেই চুপচাপ রিসিপশনে বসে থাকুন। অভিনয় পাকা করার জন্য মাঝেমধ্যে হাতের রিপোর্টগুলো নাড়াতে পারেন, মোবাইল ফোন বের করে সময় দেখতে পারেন। যেন আপনি কারও চিকিৎসা নিতে এসেছেন! ভাবটা এমন করুন যেন দেরি হয়ে যাচ্ছে। আসলে তো আপনার হাতে অফুরন্ত সময়। বসে বসে এসির হাওয়া খেয়ে তীব্র দাবদাহের দুপুরটা পার করে দিন। ঘুমাতে চাইলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
খেলা দেখা–পদ্ধতি
আপনার বন্ধুর বাড়িতে এসি আছে? আপনার বন্ধু ফুটবলের খুব বড় ফ্যান? আপনি হয়তো ফুটবল একদম পছন্দই করেন না। কিন্তু সারভাইভ করতে চাইলে পছন্দ করতে হবে। অন্তত পছন্দের অভিনয় করুন। বন্ধুকে জানান আজ রাতের খেলাটা আপনি বন্ধুর বাড়িতে দেখতে চান। বন্ধুকে খুশি করতে নানান কথা বলুন। বন্ধু যদি মেসিভক্ত হয়, তাহলে রোনালদো যে কোনো ফুটবলারই না, এমন মন্তব্য করুন। বলুন, মেসি আসলে ভিন গ্রহের খেলোয়াড়। তবে বন্ধু যদি রোনালদোর ভক্ত হয় তাহলে দুর্নাম করুন মেসিকে নিয়ে। জানান, মেসি আসলে ক্লাব ফুটবলার। গ্রেট হলো রোনালদো। এবার সন্ধ্যা হতে হতেই বন্ধুর বাড়িতে ঢুকে যান। মধ্যরাতে খেলা দেখা শেষ করে ‘এত রাতে আর কীভাবে ফিরব’ বলে বন্ধুর বাড়িতেই বাকি রাতটা কাটিয়ে দিন। ভয়াবহ গরমের রাতে এসির হিম হিম বাতাসের অনুভূতি নিয়ে ভোর রাতে কাঁথা টেনে ঘুম দিন।
আপনার বন্ধুর বাড়িতে এসি আছে? আপনার বন্ধু ফুটবলের খুব বড় ফ্যান? আপনি হয়তো ফুটবল একদম পছন্দই করেন না। কিন্তু সারভাইভ করতে চাইলে পছন্দ করতে হবে। অন্তত পছন্দের অভিনয় করুন। বন্ধুকে জানান আজ রাতের খেলাটা আপনি বন্ধুর বাড়িতে দেখতে চান। বন্ধুকে খুশি করতে নানান কথা বলুন। বন্ধু যদি মেসিভক্ত হয়, তাহলে রোনালদো যে কোনো ফুটবলারই না, এমন মন্তব্য করুন। বলুন, মেসি আসলে ভিন গ্রহের খেলোয়াড়। তবে বন্ধু যদি রোনালদোর ভক্ত হয় তাহলে দুর্নাম করুন মেসিকে নিয়ে। জানান, মেসি আসলে ক্লাব ফুটবলার। গ্রেট হলো রোনালদো। এবার সন্ধ্যা হতে হতেই বন্ধুর বাড়িতে ঢুকে যান। মধ্যরাতে খেলা দেখা শেষ করে ‘এত রাতে আর কীভাবে ফিরব’ বলে বন্ধুর বাড়িতেই বাকি রাতটা কাটিয়ে দিন। ভয়াবহ গরমের রাতে এসির হিম হিম বাতাসের অনুভূতি নিয়ে ভোর রাতে কাঁথা টেনে ঘুম দিন।
শপিংমল–পদ্ধতি
খুব গরম? আর পারছেন না? ঘামে শরীর ভিজে একেবারে জবজবে অবস্থা? সূর্য যেন আপনার মাথার ওপর বসে গ্যাংনাম স্টাইলে নাচছে? আর দেরি করবেন না। খুঁজে নিন কোনো শপিংমল বা সুপারশপ। ঢুকে যান তাতে। নগরের প্রতিটি শপিংমল বা সুপারশপে এসির উত্তম ব্যবস্থা আছে। আপনি ঢুকলেই দেখতে পাবেন আপনার মতো আরও অনেকেই আছে ভেতরে। তারা কিছুই কিনছে না। বিভিন্ন দোকানে অযথা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা দেখছে ওটা দেখছে। আপনিও তাদের অনুসরণ করুন। যখন দেখবেন শরীর শান্ত হয়ে এসেছে, চিবুকে এসির হিম হিম বাতাস লাগছে, শরীরের সমস্ত ঘাম শুকিয়ে গেছে, তখন মল ত্যাগ করুন।
খুব গরম? আর পারছেন না? ঘামে শরীর ভিজে একেবারে জবজবে অবস্থা? সূর্য যেন আপনার মাথার ওপর বসে গ্যাংনাম স্টাইলে নাচছে? আর দেরি করবেন না। খুঁজে নিন কোনো শপিংমল বা সুপারশপ। ঢুকে যান তাতে। নগরের প্রতিটি শপিংমল বা সুপারশপে এসির উত্তম ব্যবস্থা আছে। আপনি ঢুকলেই দেখতে পাবেন আপনার মতো আরও অনেকেই আছে ভেতরে। তারা কিছুই কিনছে না। বিভিন্ন দোকানে অযথা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা দেখছে ওটা দেখছে। আপনিও তাদের অনুসরণ করুন। যখন দেখবেন শরীর শান্ত হয়ে এসেছে, চিবুকে এসির হিম হিম বাতাস লাগছে, শরীরের সমস্ত ঘাম শুকিয়ে গেছে, তখন মল ত্যাগ করুন।
এটিএম–পদ্ধতি
আপনার কোনো এটিএম কার্ড নেই? অথবা মাত্র একটা ব্যাংকের এটিএম কার্ডই রয়েছে আপনার কাছে? বড় ভাই, ছোট ভাই, চাচা, মামাদের কাছ থেকে কেজো–অকেজো নানান রকমের নানান ব্যাংকের এটিএম কার্ড ম্যানেজ করুন। কার্ড নিয়ে ঢুকে যান এটিএম বুথে। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন কার্ড। বুথের এই বোতামে ওই বোতামে চাপ দিন। তারপর বেরিয়ে আসুন। ঢুকুন আরেকটা এটিএম বুথে। এভাবে একের পর এক এটিএম বুথে ঢুকুন, এটিএম বুথের এসির বাতাসে শরীরের ঘাম শুকিয়ে নিন। যদিও এটি স্বল্পমাত্রার পদ্ধতি, তবু দারুণ কাজে দেয়। তবে ঘন ঘন একই এটিএম বুথে ঢুকলে চোর সন্দেহ উত্তম-মধ্যমের ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে সাবধানতা অবলম্বন করে সারভাইভ করুন!
প্রকাশ: রস+আলো
লিংক: http://www.prothom-alo.com/roshalo/article/547714/%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%AE-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BF
আপনার কোনো এটিএম কার্ড নেই? অথবা মাত্র একটা ব্যাংকের এটিএম কার্ডই রয়েছে আপনার কাছে? বড় ভাই, ছোট ভাই, চাচা, মামাদের কাছ থেকে কেজো–অকেজো নানান রকমের নানান ব্যাংকের এটিএম কার্ড ম্যানেজ করুন। কার্ড নিয়ে ঢুকে যান এটিএম বুথে। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন কার্ড। বুথের এই বোতামে ওই বোতামে চাপ দিন। তারপর বেরিয়ে আসুন। ঢুকুন আরেকটা এটিএম বুথে। এভাবে একের পর এক এটিএম বুথে ঢুকুন, এটিএম বুথের এসির বাতাসে শরীরের ঘাম শুকিয়ে নিন। যদিও এটি স্বল্পমাত্রার পদ্ধতি, তবু দারুণ কাজে দেয়। তবে ঘন ঘন একই এটিএম বুথে ঢুকলে চোর সন্দেহ উত্তম-মধ্যমের ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে সাবধানতা অবলম্বন করে সারভাইভ করুন!
প্রকাশ: রস+আলো
লিংক: http://www.prothom-alo.com/roshalo/article/547714/%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%AE-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BF
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন