নীলাকে ভালোবেসেছিলাম।
তারপর ক্রমাগত অনেককে। আমার জীবনে ভালোবাসা এসেছে অক্লান্ত। একেকটি ভালোবাসা একেক ভাবে। প্রত্যেকটি ছিল আগেরটির চেয়ে উজ্জ্বল, চমত্কার। জীবনকে মনে হত ইক্ষু। প্রতি গাঁটে গাঁটে মিষ্টতা। আমি যেন প্রজাপতি; গাঁদা থেকে রজনীগন্ধা থেকে গোলাপ। নীলার পর কুসুম, কুসুম কন্টকাকীর্ণ হলে স্নিগ্ধ স্নিগ্ধা। মনে হয়েছিল বনলতা সেন। পাখির নীড়ের মত চোখ। আমি কিন্তু থেমে যাইনি। স্নিগ্ধার মুখোমুখি অন্ধকার হবার আগেই রূপসী রোদেলা। আহ্, জীবনটা একেবারে খাস্তা- মুরমুরে... তিল মেশানো খাজা। একটু কামড় দিয়ে মুখে নিয়ে তাড়িয়ে তাড়িয়ে স্বাদ নাও। সে স্বাদের ঘোর ঘুরপাক খেতেই থাকে। রোদেলা যেতে না যেতেই বৃষ্টি হাজির। খাসির রেজালা সাথে দই। আঙুল চেটেপুটে খাও। উফ্...
তারপরই ঘটে গেল বিভত্স ঘটনাটা।
জীবনটা থমকে গেল। একই জায়গায় ঘুরছে তো ঘুর...
আর লিখতে পারব না। নীলা এসে গেছে।
হ্যাঁ, সেই নীলা। ওর সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেছে।
অতঃপর, সব কিছুর যবনিকা ॥
(প্রকাশ: রস+আলো)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন