দুই বোন। ওরাং ওটাং।
তাদের মধ্যে খুব মিল। সারাদিন একসাথে ঘোরাঘুরি, হইচই, আনন্দ।
একই সাথে তারা নাচ গান করে। আর খাবার খুঁজে পেট ভরায়।
বিরাট জঙ্গলে তাদের বিচরণ। আজ এখানে তো কাল ওখানে। কিন্তু ঘুরতে ঘুরতে বন একদিন শেষ হয়ে গেল। তাদের মন খুব খারাপ হয়ে যায়। কী করা, কী করা...
শেষে বুদ্ধি দিলো বড় বোন। কী বুদ্ধি?
বুদ্ধি হলো কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে চলে যাওয়া। ওরাং ওটাংরা কখনোই কাজ ফেলে রাখে না। তারা কোদাল নিয়ে এলো। তারপর মাটি খুঁড়তে শুরু করল দ্রুত।
মাটি খুঁড়ছে খুঁড়ছে খুঁড়ছে...
খুঁড়তে খুঁড়তে খুঁড়তে হঠাৎ ঠং...
কীরে?
কী ওটা?
চকচকে?
ওমা মুকুট।
সোনার মুকুট। মাঝখানে তার ইয়াব্বড় কোহিনূর।
মুকুট মুকুট মুকুট...
কিন্তু একটা যে?
তাতে কি... আমি নেব...
না না আমি নেব... আমি বড় না?
তো কী হয়েছে? আমারই পাওয়া উচিৎ। আমি না তোমার আদরের ছোট বোন।
আরে যা যাহ..
তারপর ঝগড়া। সে কী ঝগড়া। তুমুল ঝগড়া। তাদের চিল্লাফালায় বনের সব প্রাণী ছুটে এলো। তাদের রাগ দেখে থমকে গেল। বাচ্চারা তো ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেল। আকাশে উড়ে যাওয়া যে পাখি, তাদের চিৎকারে মাটিতে ধুপ করে পড়ে গেল।
তাদের ঝগড়ায় পুরো জঙ্গল স্থবির হয়ে গেল। কেউ কোনো কাজ করতে পারে না। যখনই কাজ করতে শুরু করে তখনই দুবোনের গলার আওয়াজ পাওয়া যায়- এতো জোরে আর অসভ্যভাবে তারা কথা বলে যে বাচ্চাদের বাবা-মা ঘর থেকে বেরোতেই দিলো না। জঙ্গলে যেন চির অন্ধকার নেমে এলো। আর এদিকে দুই ওরাংওটাং বোনের ঝগড়া-গালাগালি-মারামারি-হাতাহাতি-চুলোচুলি চলতেই থাকলো, চলতেই থাকলো...
তারপর একদিন নদী থেকে এলো কুমির। হেলে দুলে দাঁড়ালো দুই ওরাংওটাং বোনের পাশে।
কী নিয়ে ঝগড়া বলো তো?
কী নিয়ে আবার, এই যে এই মুকুট...
ও...
মুকুটটা নিজের হাতে নিলো কুমির। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখল। তারপর মাথায় দিলো।
এটা আমার...
না না আমার...
ওরাংওটাং বোনের মধ্যে আবার ঝগড়া বেধে গেল। কুমির বলল, তা তোমাদের মধ্যে কে এই মুকুটটা পেয়েছ?
দুজনেই একসাথে বলল, আমি।
কীভাবে পেয়েছ?
মাটি খুঁড়ে।
কে কতবার মাটি খুঁড়েছ?
বড় ওরাংওটাং হিশেব কষল, বলল, আমি বাহান্ন বার।
ছোট ওরাংওটাং হিসেব কষল, বলল, আমিও বাহান্ন বার।
কুমির তার মাথায় মুকুটটা নেড়েচেড়ে ঠিক করে বলল, খুব মুস্কিল, দুজনেই এক সমান... তোমাদের কি মাটি খোঁড়া শেষ হয়েছে?
না।
তাহলে মাটি খুঁড়তে শুরু করে দাও... যে বেশিবার খুঁড়তে পারবে সে-ই পাবে এই মুকুট।
আচ্ছা আচ্ছা...
দুজনেই আবার কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে শুরু করল। এবার লাগল গুণতে। তিপান্ন... তিপান্ন... চুয়ান্ন... চুয়ান্ন...
এদিকে কুমির মাথার মুকুটটি নিয়ে চলে গেল জঙ্গলের মাঝ বরাবর। তারপর ঘোষণা দিল এখন থেকে এই জঙ্গলের সে-ই রাজা।
আর এদিকে পড়তেই থাকলো কোদালের কোপ... এক হাজার সাতশ একাত্তর... এক হাজার সাতশ একাত্তর...
এক হাজার সাতশ বাহাত্তর... এক হাজার সাতশ বাহাত্তর...
আর ওদিকে জঙ্গলের সবাই কুমিরটাকে কুর্নিশ করল।
আর হ্যাঁ বলতে ভুলেছি, কুমিরটার গায়ের রঙ জলপাই।
তাদের মধ্যে খুব মিল। সারাদিন একসাথে ঘোরাঘুরি, হইচই, আনন্দ।
একই সাথে তারা নাচ গান করে। আর খাবার খুঁজে পেট ভরায়।
বিরাট জঙ্গলে তাদের বিচরণ। আজ এখানে তো কাল ওখানে। কিন্তু ঘুরতে ঘুরতে বন একদিন শেষ হয়ে গেল। তাদের মন খুব খারাপ হয়ে যায়। কী করা, কী করা...
শেষে বুদ্ধি দিলো বড় বোন। কী বুদ্ধি?
বুদ্ধি হলো কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে চলে যাওয়া। ওরাং ওটাংরা কখনোই কাজ ফেলে রাখে না। তারা কোদাল নিয়ে এলো। তারপর মাটি খুঁড়তে শুরু করল দ্রুত।
মাটি খুঁড়ছে খুঁড়ছে খুঁড়ছে...
খুঁড়তে খুঁড়তে খুঁড়তে হঠাৎ ঠং...
কীরে?
কী ওটা?
চকচকে?
ওমা মুকুট।
সোনার মুকুট। মাঝখানে তার ইয়াব্বড় কোহিনূর।
মুকুট মুকুট মুকুট...
কিন্তু একটা যে?
তাতে কি... আমি নেব...
না না আমি নেব... আমি বড় না?
তো কী হয়েছে? আমারই পাওয়া উচিৎ। আমি না তোমার আদরের ছোট বোন।
আরে যা যাহ..
তারপর ঝগড়া। সে কী ঝগড়া। তুমুল ঝগড়া। তাদের চিল্লাফালায় বনের সব প্রাণী ছুটে এলো। তাদের রাগ দেখে থমকে গেল। বাচ্চারা তো ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেল। আকাশে উড়ে যাওয়া যে পাখি, তাদের চিৎকারে মাটিতে ধুপ করে পড়ে গেল।
তাদের ঝগড়ায় পুরো জঙ্গল স্থবির হয়ে গেল। কেউ কোনো কাজ করতে পারে না। যখনই কাজ করতে শুরু করে তখনই দুবোনের গলার আওয়াজ পাওয়া যায়- এতো জোরে আর অসভ্যভাবে তারা কথা বলে যে বাচ্চাদের বাবা-মা ঘর থেকে বেরোতেই দিলো না। জঙ্গলে যেন চির অন্ধকার নেমে এলো। আর এদিকে দুই ওরাংওটাং বোনের ঝগড়া-গালাগালি-মারামারি-হাতাহাতি-চুলোচুলি চলতেই থাকলো, চলতেই থাকলো...
তারপর একদিন নদী থেকে এলো কুমির। হেলে দুলে দাঁড়ালো দুই ওরাংওটাং বোনের পাশে।
কী নিয়ে ঝগড়া বলো তো?
কী নিয়ে আবার, এই যে এই মুকুট...
ও...
মুকুটটা নিজের হাতে নিলো কুমির। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখল। তারপর মাথায় দিলো।
এটা আমার...
না না আমার...
ওরাংওটাং বোনের মধ্যে আবার ঝগড়া বেধে গেল। কুমির বলল, তা তোমাদের মধ্যে কে এই মুকুটটা পেয়েছ?
দুজনেই একসাথে বলল, আমি।
কীভাবে পেয়েছ?
মাটি খুঁড়ে।
কে কতবার মাটি খুঁড়েছ?
বড় ওরাংওটাং হিশেব কষল, বলল, আমি বাহান্ন বার।
ছোট ওরাংওটাং হিসেব কষল, বলল, আমিও বাহান্ন বার।
কুমির তার মাথায় মুকুটটা নেড়েচেড়ে ঠিক করে বলল, খুব মুস্কিল, দুজনেই এক সমান... তোমাদের কি মাটি খোঁড়া শেষ হয়েছে?
না।
তাহলে মাটি খুঁড়তে শুরু করে দাও... যে বেশিবার খুঁড়তে পারবে সে-ই পাবে এই মুকুট।
আচ্ছা আচ্ছা...
দুজনেই আবার কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে শুরু করল। এবার লাগল গুণতে। তিপান্ন... তিপান্ন... চুয়ান্ন... চুয়ান্ন...
এদিকে কুমির মাথার মুকুটটি নিয়ে চলে গেল জঙ্গলের মাঝ বরাবর। তারপর ঘোষণা দিল এখন থেকে এই জঙ্গলের সে-ই রাজা।
আর এদিকে পড়তেই থাকলো কোদালের কোপ... এক হাজার সাতশ একাত্তর... এক হাজার সাতশ একাত্তর...
এক হাজার সাতশ বাহাত্তর... এক হাজার সাতশ বাহাত্তর...
আর ওদিকে জঙ্গলের সবাই কুমিরটাকে কুর্নিশ করল।
আর হ্যাঁ বলতে ভুলেছি, কুমিরটার গায়ের রঙ জলপাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন